Facebook আর Instagram এর সুবাদে এখন বিশ্বজুড়ে Selfie তোলার ধুম। ঘরে, বাইরে, অনুষ্ঠানে কিংবা ট্রাভেলে যেতে যেতে সেলফি তোলাটা নিত্য সময়ের একটা নিঃস্বার্থ মজার বিনোদন হয়ে দাঁড়িয়েছে সবার কাছে। স্মার্টফোনগুলো সস্তায় সবার ক্রয় সীমার মধ্যে চলে আসাতে সেলফি তোলাটাও সবার হাতের মুঠোয়। ফেসবুক কিংবা ইন্সটাগ্রামের ওয়ালে প্রতিদিনই আমরা হাজার হাজার সেলফির ফটো দেখতে পাই।
কিন্তু এই Selfie যখন হয়ে ওঠে প্রাণঘাতী তখন কি আমরা শুধুই প্রযুক্তিকে অভিশপ্ত বলে আক্ষেপ করব? নাকি সেলফির নেশায় দিশেহারা হয়ে ওঠা মানুষগুলোর মানসিক অবস্থানকে সামাজিক অবক্ষয় বলে দোষারোপ করব? দোষ যার ঘাড়েই পরুক না কেন, এমন accident থেকে কিন্তু রেহাই পাচ্ছে না সেলফি প্রিয় মানুষগুলো।
প্রথম খবরটি পাওয়া যায় ইন্ডিয়ায়। একজন ৬৬ বছর বয়সী জাপানিজ টুরিস্ট Taj Mahal দেখতে গিয়ে self-portrait তোলার সময় Taj Mahal’s Royal Gate থেকে পড়ে প্রাণ হারায়। এটা নিঃসন্দেহে একটি অত্যন্ত দুঃখজনক ঘটনা। কিন্তু ঘটনাটি এখানেই শেষ হতে পারত। সেলফি দুর্ঘটনায় অকালে অপ্রত্যাশিতভাবে আরও অনেক প্রাণ গেছে।
এ বছরের মে মাসে ঘটে যায় আরেক নির্মম ঘটনা।মস্কোতে ২১ বছর বয়সী তরুণী বন্দুক নিয়ে Selfie তুলতে গিয়ে নিজের হাতেই গুলিবিদ্ধ হয় নিজে।
আগস্টে Spain এ ষাঁড় দৌড়ের খেলার মাঠে এক ব্যক্তি সেলফি তুলতে গিয়ে ষাঁড়ের গুঁতোয় নিহত হয়।
Russia তে আরেকটি ঘটনায় ট্রেইন এর উপর উঠে সেলফি তুলতে গিয়ে বিদ্যুৎপিস্ট হয় এক ছেলে। এই ঘটনার পর সেদেশের সরকার public-service campaign চালিয়ে নিষেধাজ্ঞা জারি করে যাতে বাড়ির উপর, চলন্ত ট্রেনের সামনে বা কোন বন্য প্রাণীর সামনে সেলফি তোলা না হয়।
এরপর Mashable এর একটি প্রতিবেদনে দেখানো হয় ২০১৫ সালে ১২ জন সেলফি দুর্ঘটনায় মারা যায় যেখানে শার্ক এর এটাকে মারা গেছে ৮ জন। সেই আর্টিকেলে Cailey Rizzo এর সনাক্ত করে যে, ৪ জন ব্যাক্তি সেলফি দুর্ঘটনায় পড়ে গিয়ে মারা যায়।
একটার পর একটা সেলফি দুর্ঘটনায় প্রাণহানি হবার পরও মানুষ সচেতন হচ্ছে না। বরং আরও নতুন নতুন Selfie Stick, Selfie Spoon বাজারে আসছে এবং Museums, Music festivals, Zoos, Pamplona’s Running of the Bulls এমনকি Comic-Con এবং Disney parks এসব selfie stick রেখে সেলফি তোলার ব্যাপারে উৎসাহী করে তোলা হচ্ছে।
কিন্তু জীবনের মতো এতো মূল্যবান সম্পদ আর কি হতে পারে! এ কথাটি মাথায় রেখে মানুষ যদি এখনই সচেতন না হয় তাহলে নিজের বোকামোর চরম মূল্য দিতে হবে। ট্র্যাভেল কিংবা বিনোদন করার সময় সবাই অবশ্যই যেন একটু সচেতন হয় এমনটি প্রত্যাশা হোক সবার।
Tech Ninja – Techmorich