সম্প্রতি এক গবেষণা থেকে জানা যায় একটা দেশের সার্চ ইঞ্জিন ঐ দেশের নির্বাচনকে প্রভাবিত করতে পারে। যে কোন গুরুত্বপূর্ণ তথ্য জানতে আধুনিক বিশ্বের নাগরিকগণ সার্চ ইঞ্জিনের দ্বারস্থ হন। সেটা হোক ব্যক্তিগত কোন সমস্যা সমাধানের জন্য বা হোক রাষ্ট্রের কোন গুরুত্বপূর্ণ তথ্য।
সার্চ ইঞ্জিনের র্যাংকিং সংক্রান্ত ইতিবাচক ও নেতিবাচক উভয় ধরণের প্রভাব রয়েছে যে কোন পণ্যের ভোক্তাদের উপরে। ক্রেতা বা ভোক্তাগণ অনেক সময়েই পণ্য বা সেবা ক্রয়ের ক্ষেত্রে সার্চ ইঞ্জিনের র্যাংকিং এর দিকে দৃষ্টি রাখেন। যেই পণ্যটি সার্চে প্রথম দিকে থাকে সেই পণ্যটি তারা কিনতে আগ্রহী হন।
একই ভাবে যখন কোন নির্বাচনের পূর্বে ভোটারগণ বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও প্রার্থীদের তথ্য ইন্টারনেটে সার্চ করতে থাকেন তখনও তাদের উপর সার্চ ইঞ্জিনের একটা প্রভাব পড়ে। যারা তাদের ভোটের ব্যাপারে সিদ্ধান্তহীনতায় ভূগছেন বিশেষ করে তারাই এর দ্বারা বেশি প্রভাবিত হয়ে থাকে। আমেরিকা ও ভারতের নির্বাচনের পূর্বে প্রার্থী পছন্দ করেন নি এমন প্রায় সাড়ে চার হাজার ভোটারের উপর সমীক্ষা চালিয়ে এমন তথ্য পাওয়া যায়।
২০১৪ সালে ভারতের লোকসভা নির্বাচনের চূড়ান্ত ভোট গ্রহণের আগে নেয়া তথ্যের ভিত্তিতে বেশ কিছু চমকপ্রদ তথ্য জানা যায়। সার্চ ইঞ্জিনকে যদি পক্ষপাতমূলক ভাবে ব্যবহার করে কোন প্রার্থীকে র্যাংকিং এ শুরুর দিকে দেখানো যায় তাহলে অন্তত ২০% ভোটার তাদের ভোট এই প্রার্থীকেই দিয়ে থাকেন। কোন সার্চ ইঞ্জিন কোম্পানী যদি সিস্টেমকে ম্যানিপুলেট করে প্রার্থীর র্যাংকিং বাড়িয়ে দেন তাহলে সিদ্ধান্তহীনতায় ভোগা ভোটারদেরকে সহজে আকৃষ্ট করতে পারে।
গবেষক দল এই সিদ্ধান্তে এসেছে যে কোন একটা দেশের মধ্যে একটা সার্চ ইঞ্জিনের উপরেই জনগণ নির্ভরশীল হয়ে পড়লে এই কোম্পানীর পক্ষে এমন ইলেকশন ইঞ্জিনিয়ারিং এর মত কাজ করা সম্ভব। অর্থাৎ তারা ব্যবসায়ীক লাভের জন্য ভোটারদেরকে ভুল তথ্য প্রদান করতে পারে।
টেক এনালিস্ট – টেকমরিচ