বিভিন্ন পাবলিক প্লেস যেমন রেস্টুরেন্ট, কফি শপ, ইউনিভার্সিটি ক্যাম্পাস বা শপিং মলে যদি পাবলিক Wi-Fi পাওয়া যায় তাহলে আমরা আনন্দে আটখানা হয়ে পড়ি! মনে করি এ তো বিরাট সুযোগ, ব্যবহার করে নিই ইচ্ছা মত!
কিন্তু এই ফ্রি ওয়াই-ফাই ব্যবহার কাল হয়ে দাঁড়াতে পারে আপনার জন্য। আপনার গুরুত্বপূর্ণ আর স্পর্শকাতর তথ্য নিমিষেই চুরি হয়ে হয়ে যেতে পারে।
পাবলিক ওয়াইফাইয়ের মাধ্যমে তথ্য চুরি বা হ্যাকের জন্য হ্যাকারদের কাছে ৩টি পদ্ধতি জনপ্রিয়।
“The Man In the Middle, The Evil Twin ও The Packet Sniffer”. চলুন জেনে নেয়া যাক এ সম্পর্কে মুল্যবান কিছু তথ্য ।
পাবলিক ওয়াইফাই ব্যবহার করে আপনি যে সকল তথ্য আদানপ্রদান করছেন সেগুলোতে হ্যাকারদের অনুপ্রবেশ সম্ভব। আপনার মোবাইল বা কম্পিউটার থেকে যেই তথ্য পাঠানো হচ্ছে সেগুলো তারা হাত করে নিতে পারে।
কৌশলে হ্যাকাররা আপনার ফোনে ওয়াইফাই হটস্পটের সিগনাল পাঠাতে পারে, যাতে কানেক্ট হলে আপনার কাছে মনে হবে সাধারণ ওয়াইফাইয়ের সাথেই কানেক্টেড আছেন। কিন্তু এতে আপনার গুরুত্বপূর্ণ সব ডাটা চলে যেতে পারে হ্যাকারদের দখলে। এ ধরণের ফাঁদে ফেলে আপনার ই-মেইলের পাসওয়ার্ড এমন কি ক্রেডিট কার্ডের নাম্বার সহ চুরি হয়ে যেতে পারে। বিপদটা নিশ্চয়ই টের পাচ্ছেন!
এছাড়াও packet sniffer নামে পরিচিত একটা সফটওয়্যারের মাধ্যমে ইউজারের পাঠানো তথ্য সংগ্রহ করা যায়। এই সফটওয়্যার আপনার কম্পিউটারের নেটওয়ার্ক বা নেটওয়ার্ক ইন্টারফেসের মাধ্যমে পাঠানো সকল ডাটাই ক্যাপচার করতে পারে।
করণীয়ঃ
যদি পাবলিক ওয়াই-ফাই ব্যবহার করতেই হয় তাহলে গুরুত্বপূর্ণ বা স্পর্শকাতর তথ্যের আদান-প্রদান হতে বিরত থাকুন। ই-মেইল, ফেসবুক ইত্যাদি সাইটে লগ ইন করার ক্ষেত্রে ‘two factor authentication’ চালু রাখুন। অর্থাৎ সরাসরি যেন লগ ইন করা না যায়। সঠিক আইডি-পাসওয়ার্ড দেয়ার পরে যদি লগ ইন করার জন্য একটি কোড আপনার ফোনে আসে সেক্ষেত্রে হ্যাকাররা আপনার মেইল আইডি-পাসওয়ার্ড পেলেও ই-মেইলে লগ ইন করতে পারবে না। কারণ আপনার ফোনের এই ভেরিফিকেশন কোড ছাড়া লগ ইন করা সম্ভব হবে না।
নিরাপত্তার স্বার্থে অটোমেটিক্যালি ওয়াইফাইয়ের সাথে কানেক্ট হবার অপশন বন্ধ করে রাখুন। আপনার প্রয়োজন অনুসারে যখন দরকার তখনই ম্যানুয়াল্যি ওয়াইফাইয়ে কানেক্ট হোন।
ডাটাগুলো রাখুন Encrypted. অর্থাৎ যে সকল ওয়েবসাইটে HTTPS প্রটোকল মেনে পরিচালিত হয় সে সব সাইট নিশ্চিন্তে ব্যবহার করতে পারেন। যেমনঃ গুগল, ফেসবুক ইত্যাদি। এসব সাইট আপনার ডাটাকে এনক্রিপ্ট করে ফেলে। যেই ডাটাগুলোকে হ্যাকারদের পক্ষে decrypt করা প্রায় অসম্ভব!
কন্টেন্ট এনালিস্ট – টেকমরিচ
ফটো সোর্স – ডিজিটালট্রেন্ড