কৃত্তিম বুদ্ধিমত্তা (Artificial intelligence)

ডিসেম্বর ২৭, ২০১৫

তথ্য প্রযুক্তির সর্বচ্চ সংযোজন এর কথা বলতে গেলে এক কথায় চলে আসে Artificial intelligence বা কৃত্তিম বুদ্ধিমত্তার বিষয়টি। প্রতিটি ক্ষেত্রে এখন সায়েন্টিস্ট দের লক্ষ্য একটাই সেটা হচ্ছে কিভাবে কৃত্তিম বুদ্ধিমত্তা বা Artificial intelligence কে কাজে লাগিয়ে উন্নত মানের টেক সামগ্রী তৈরি করবে। চলুন বিস্তারিত জেনে আসা Artificial intelligence সম্পর্কে ।

ইন্টেলিজেন্স বা বুদ্ধিমত্তা শব্দটির আভিধানিক ব্যাখ্যা দাঁড় করাতে গেলে বলা যায়, মানুষের চিন্তাভাবনায় অথবা বুদ্ধিমত্তার পদ্ধতিটাকে যন্ত্রের মাধ্যমে বাস্তবায়ন করাটাই হলো আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স Artificial intelligence সংক্ষেপে AI । কৃত্তিম বুদ্ধিমত্তাকে কম্পিউটারের মাধ্যমে কাজে লাগানোর জন্য বিভিন্ন ধরনের প্রোগ্রামের ভাষা ব্যাবহার করা হয়। যেমন – C, C++, PROLOG, LISP ইত্যাদি।

কতগুলো ইন্টেলিজেন্স বা বুদ্ধিমত্তা শব্দটি হলো কয়েকটি বিশেষ গুনের সমষ্টিবদ্ধ রুপ। যেমন – কোন নির্দিষ্ট বিষয় সম্পর্কে ধারনা করতে পারা, সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতা, সমস্যা সমাধানের সক্ষমতা, অভিজ্ঞতা থেকে শিক্ষা নেয়া, যে কোন বিষয় সম্পর্কে জ্ঞান অর্জন করতে পারা, অর্জিত জ্ঞানকে কাজে লাগাতে পারা, নতুন অবস্থার পরিপ্রেক্ষিতে দ্রুত এবং সফলভাবে সাড়া দেওয়া, ভাষা বুঝতে পারার ক্ষমতা এ সবই বুদ্ধিমত্তার অংশ। এ বুদ্ধিমত্তা বা ইন্টেলিজেন্স – এর আগে আর্টিফিশিয়াল শব্দটি তখনই বসানো যায় – যখন এ গুণগুলোকে সিমুলেট করা সম্ভব হয় কোন সিস্টেমের মাঝে।

বর্তমানে সকল রোবটিক্স এর উপর আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স এর প্রয়োগ উত্তর উত্তর বেড়েই চলেছে।বিশেষ করে ফ্লাইট সিমুলেটর জাতীয় প্রোগ্রামগুলোর ওপর এ নিয়ে ব্যাপক গবেষণা চলছে। এতে করে পিসি পাইলট থেকে শুরু করে প্রফেশনাল পাইলট পর্যন্ত সবার জন্য প্লেন চালানোর ব্যাপারটা অনেক সহজ হয়ে যাবে। এ প্রোগ্রামগুলোকে আরও বেশী বাস্তব পরিস্থিতি সেখানো হচ্ছে। এসব প্রোগ্রাম ব্যাবহার করে একদিন পাইলট ছাড়াই প্লেন চলবে – এ লক্ষ্যকে সামনে রেখে কাজ করে যাচ্ছেন প্রোগ্রামারগণ।

ফাজি লজিক ও নিউরাল নেটওয়ার্ক এর সমন্বয়ে গড়ে উঠেছে AI এর আরেকটি বড় শাখা। আজকাল অনেক গাড়িতেই দেখা যায় নিউরাল নেটওয়ার্ক ও ফাজি লজিক সফটওয়্যার। এসব সফটওয়্যার একজন ড্রাইভারের ড্রাইভিং স্টাইল রপ্ত করতে পারে। এ প্রক্রিয়া একসময় গাড়ি চালানোকে একটা পর্যায়ে নিয়ে যাবে যখন ড্রাইভারের কাজ হবে শুধু “অটড্রাইভার” নামাঙ্কিত একটি সুইচ অন করা।

Artificial intelligence Application এর ক্ষেত্রগুলো  – Game playing, Speech recognition, Understanding natural language, Computer vision, Expert systems এবং Heuristic classification ।

Cybersecurity Lab at the University of Louisville এর রোমান director Yampolskiy, ব্যাপক গবেষণা চালিয়ে ২০১৫ এর সেরা AI এর ট্রেন্ডি এপ্লিকেশনগুলো বর্ননা করেছেন।

তার মধ্যে ৭টি  অন্যতম চিহ্নিত বিষয়গুলো হচ্ছে – Deep learning, AI replacing workers, Internet of Things (IoT), Breakthroughs in emotional understanding, AI in shopping and customer service, Ethical questions এবং A problem with representation ।

সোর্স – উইকি, টেকরিপাবলিক ।

Jeba – Techwriter