Android – যেভাবে ডিজিটাল যুগের সূচনা ঘটাল

ডিসেম্বর ১৫, ২০১৫

স্মার্টফোনের বদৌলতে মানুষ এখন আরো স্মার্ট আরো গ্লোবালি কানেক্টেড। কি আছে এই স্মার্টফোনে যা মানুষকে সত্যি রাতারাতি এত স্মার্ট করে তুলল? ভিডিও, চ্যাটিং, অরগানাইজার, গেইম, মজার মজার সব অ্যাপ্স, কি নেই এতে! সবাই এখন হাতের এই মুঠো স্মার্টফোনের উপর নির্ভরশীল। কিন্তু কেমন করে এই স্মার্টফোন এত স্মার্ট হল?

বর্তমান বিশ্বের শীর্ষ বিক্রিত স্মার্টফোনের একটি অপারেটিং সিস্টেমের নাম হচ্ছে এন্ড্রয়েড (Android )। কমপিউটার চালাতে যেমন উইন্ডোজ ৭, ম্যাক বা লিনাক্স অপারেটিং সিস্টেমের প্রয়োজন হয় তেমনি মোবাইল ফোনের জন্য একটি অপারেটিং সিস্টেমের প্রয়োজন হয়। এন্ড্রয়েড সেরকম একটি মোবাইল ফোন অপারেটিং সিস্টেম যেটা লিনাক্স কারনেলের উপর ভিত্তি করে তৈরী করা হয়েছে। এনড্রয়েড এপ্লিকেশনগুলো সাধারণত তৈরী করা হয় জাভায় এনড্রয়েড সফটওয়্যার ডেভেলপমেন্ট কিট (SDK) ব্যবহার করে। কিন্তু অন্যান্য আরো টুলস যেমন নেটিভ ডেভেলপমেন্ট কিট এবং গুগল এপ ইনভেন্টরও ব্যবহার করা হয়।

এন্ড্রয়েড ইনকর্পোরেট প্রতিষ্ঠা হয়েছিল Palo Alto, California ২০০৩ সালের অক্টোবরে।
এর প্রতিষ্ঠাতারা হচ্ছেন Andy Rubin (co-founder of Danger), Rich Miner (co-founder of Wildfire Communications, Inc.), Nick Sears (once VP at T-Mobile), এবং Chris White (head of design and interface development at WebTV
২০০৫ সালের আগষ্ট মাসে গুগল এন্ড্রয়েডকে কিনে নেয় এবং এর অধীনস্থদের (এন্ডি রুবিন, রিচ মাইনার এবং ক্রিস হোয়াইট) গুগল ইনকর্পোরেটের সহ প্রতিষ্ঠান হিসেবে স্বীকৃতি দেয়।

এনড্রয়েড যখন ২০০৭ সালে উন্মুক্ত হয় তখন অন্যান্য মোবাইল কোম্পানিগুলোর মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দেয়। তখন এর প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী  নকিয়া বলেছিল “আমরা একে হুমকি হিসেবে দেখছি না”,এবং মাইক্রোসফটের উইন্ডোজ মোবাইল দলের একজন সদস্য জানিয়েছিল  “আমি তাদের বাজারে আসার প্রভাব বুঝতে পারছি না”।

এনড্রয়েড Logo এর নকশা করা হয় Droid ফন্ট তৈরী করার সময় এসচেন্ডার কর্পোরেশন কতৃক। এনড্রয়েড এর সবুজ রংটি রোবটকে নির্দেশ করছে যা এনড্রয়েড অপারেটিং সিস্টেম। এর প্রিন্ট রং হল PMS ৩৭৬সি এবং RGB রং হেক্সাডেসিমেলে #A4C639, যেটি গুগলের ব্রান্ড গাইডলাইনে বলা আছে। এটির ভিন্ন ব্যবহারের সময় এটিকে NORAD বলা হয়। এটি শুধু মাত্র টেক্সট বা লেখার লোগোতে ব্যবহার করা হয়।

এনড্রয়েড অপারেটিং সিস্টেম শুধুমাত্র স্মার্টফোনেই সীমাবদ্ধ নয়। বিভিন্ন স্মার্টফোন, নেটবুক, টেবলেট, গুগল টিভি এবং অন্যান্য ডিভাইসেও Android OS  ব্যবহৃত হয়।

এন্ড্রয়েডের আসল সংস্করণের প্রকাশের পূর্বে বেশ কিছু আপডেট দেখা যায়। এইসব আপডেটগুলো মূল অপারেটিং সিস্টেমে চলার আগে পরিক্ষামূলক দেখা হচ্ছিল। যেখানে বিভিন্ন বাগ (সফটওয়্যারের ভুল) ঠিক করা হয় এবং নতুন ফিচার যোগ করা হয়।

Android এর প্রথম থেকে এখন পর্যন্ত Versionগুলো হলো –

Cupcake (1.5)
Donut (1.6)
Eclair (2.0–2.1)
Froyo (2.2–2.2.3)
Gingerbread (2.3–2.3.7)
Honeycomb (3.0–3.2.6)
Ice Cream Sandwich (4.0–4.0.4)
Jelly Bean (4.1–4.3.1)
KitKat (4.4–4.4.4, 4.4W–4.4W.2)
Lollipop (5.0–5.1.1)
Marshmallow (6.0–6.0.1)

মজার বিষয় হলো এনড্রয়েড এর শিথিল এবং পরিবর্তনযোগ্যতার কারনে এটিকে অন্যান্য বৈদ্যুতিক যন্ত্রপাতিতে স্মার্টফোন এবং ট্যাবলেট ছাড়াও ব্যবহার করা সম্ভব হয়েছে। যেমন Laptop, Notebook, Smartbook, SmartTV , (Android TV), Google TV এবং ক্যামেরাতে ( যেমন Galaxy Camera) এছাড়াও Google Plus নামক গুগলের স্মার্ট গ্লাসে, SmartWatch, Headphone, গাড়ির সিডি ডিভিডি প্লেয়ার, আয়না, eBookReader, Portable Media Player, Landline ইত্যাদি।
Source – Wiki, Google

Jeba – Techwriter