এই পর্বে আপনাদের কে কালার এর আরেকটু বেসিক আলোচনাতে নিয়ে যাবো। যা অবশ্যই জানা দরকার। বিশেষ করে যারা ফটোশপ এবং ইলাস্ট্রেটরে কাজ করেন তারা কালার বক্স ওপেন করলে সেখানে অনেক কিছুই দেখতে পান কিন্তু হয়তো অনেকেই ব্যাপারগুলো বোঝেন না যে, এখানে এইগুলোর মিনিং কি। নিচের ইমেজ টিতে লক্ষ্য করুন ঃ
ফটোশপের কালার বক্স কালার মুড
উপরের মার্ক করা ব্যাপারগুলোর সাথে অনেকেই পরিচিত। আবার অনেকেই পরিচিত নন। অনেকে হয়তো কিছুটা জানেন আবার অনেকেই জানেন না। চলুন বিস্তারিত আলোচনা করা যাক।
What is RGB Color Mode?
এটা সবাই জানেন যে, RGB এর অর্থ হচ্ছে R = Red, G = Green and B = Blue। অনেকেই এ কারণে নীল রং কে মৌলিক কালার বলে থাকে। যারা এইরূপ ধারণা করে, তাদের ধারণা ভুল। ওয়েব এর কালার ৩ টা চ্যানেলে হয়। যেখানে লাল, সবুজ এবং নীল কালার ব্যবহৃত হয়। ওয়েবের কালার টা একটু ঔজ্জ্বল্য থাকে । RGB Mode এ তখন’ই কাজ করতে হয়, যখন ওয়েব ভিত্তিক কোন কিছু ডিজাইন করবেন। যেমন, ওয়েব টেমপ্লেট, ওয়াল পেপার, এ্যানিমেশন ইত্যাদী। অর্থাৎ ওয়েবে বা মনিটরে বা মোবাইলের স্ক্রিনে দেখাবে এবং যেটা প্রিন্ট করা হবে না। এমন ডিজাইন করার সময় RGB Mode নিয়ে কাজ করতে হয়।
আপনি ইচ্ছা করলে ওয়েবের জন্য RGB ছাড়া অন্য মুড এ কাজ করতে পারবেন কিন্তু তা ওয়েবের জন্য পারফেক্ট হবে না।
RGB এর প্রত্যেকটা কালারের Value থাকে ০ থেকে ২৫৫ পর্যন্ত। অর্থাৎ তিনটা কালারের ভ্যালু গুলো ে এভাবে থাকে 255,255,255 ।
যদি RGB তে তিনটার Value ই ২৫৫ রাখেন তাহলে তার কালার হবে ব্রাইট অর্থাৎ সাদা এবং তিনটা যদি ০ ০ ০ রাখেন তাহলে তার কালার হবে কালো। কালার চেঞ্জ করার জন্য আপনারা এই value গুলো পরিবর্তন করে কালার পরিবর্তন করতে পারেন।
What is CMYK Mode?
আপনি যদি কোন ডিজাইন প্রিন্ট করার জন্য করে থাকেন অর্থাৎ লোগো, ব্রশিউর, ব্যানার, হ্যান্ডবিল, বিজনেস কার্ড, ফ্লেয়ার ইত্যাদী তাহলে তার আগে আপনার ডিজাইনের মুড টা CMYK এ নিয়ে কাজ করতে হবে। কেননা, প্রিন্ট এর কালার টা একটু ডিপ হয় অর্থাৎ ওয়েব কালার এর মত ফোকাসপূর্ণ বা উজ্জল হয় না। যার কারণে যেভাবে ডিজাইন করেছেন সেভাবেই যদি আপনি আপনার প্রিন্ট এর কালার চান তাহলে অবশ্যই ডিজাইন করার সময় CMYK মুড নির্বাচন করে নিয়ে কাজ করতে হবে।
CMYK এর অর্থ হচ্ছে, C = Cyan , M = Magenta, Y = Yellow and K means Black , অর্থাৎ CMYK কালার মুড টা ৪ টা কালার চ্যানেল সাপোর্টেট। উপরের ইমেজে দেখুন নিচের দিকে ডান পাশে CMYK কালারের ঘর । প্রত্যেকটা কালারের অংশে % দেওয়া আছে। অর্থাৎ আপনি কালারের পার্সেন্টিজ হিসেবে েএখানে কালার সিলেক্ট করতে পারবেন। কোন কালার কত পার্সেন্ট করে হবে সেটা দিয়ে দিতে পারবেন।
What is GrayScale Mode?
GrayScale নামটার মধ্যেই সাদা-কালো বোঝা যাচ্ছে। হ্যা। আপনি যদি সাদা কালো কোন কিছু সহজেই করতে চান তাহলে আপনার ডিজাইন মুড GrayScale এ নিয়ে নিন। এতে আপনার কাজ করতে সুবিধা হবে।
What HSB in Color Pallet?
H = HUE ঃ উপরের ইমেজ টা লক্ষ্য করুন , দেখবেন যে, উপরে বাম পাশের মার্ক করা স্থানে HSB নামের তিনটা ঘর আছে। অনেকেই জানেন না ফটোশপে এই তিনটা ঘর এর কাজ কি!
H means Hue আর এর অর্থ হচ্ছে কালার। অর্থাৎ আপনি এর H বা Hue এর ঘরে কোন ভ্যালু পরিবর্তন করলে কালার বক্স এর কালারের পরিবর্তন হবে। হিউ এর ঘরে ডিগ্রি আকারে ভ্যালু দিতে হয়। এখানে মোট ৩৬০ পর্যন্ত আপনি ভ্যালু বসাতে পারবেন।
B = Brightness ঃ এবার আমারা যদি কালারের Brightness বা উজ্জলতা বাড়াতে কমাতে চাই তাহলে আমাদের B এর ঘরটি সিলেক্ট করতে হবে। নিচের ইমেজ লক্ষ্য করুন ঃ
What is Lab Color Mode or How to Use Lab Color Pallet?
উপরের ইমেজে সিলেক্ট করা অংশের কোডটি ই হচ্ছে কালারের Hex কোড। এই কোড আপনি ওয়েব সহ যেকোন যায়গায় ব্যাবহার করতে পারেন। সঠিক ভাবে একটা কালার কে কপি করার জন্য অবশ্যই এই কোড ব্যাবহার করবেন। ওয়েব , প্রিন্ট সহ যেকোন স্থানে এই কোড ব্যাবহার করে আপনি হুবুহু কালার যোগ করতে পারবেন।
Tahmid Hasan
User Experience Professional