আমাদের পৃথিবীকে সূর্যের অতি বেগুণী রশ্মি থেকে রক্ষা করার জন্য কাজ করে ওজন গ্যাসের স্তর। এছাড়াও দৃশ্যমান সকল আলোকরশ্মিকে শোষণ করে পৃথিবীর প্রয়োজন অনুসারে সেগুলোকে পৃথিবীতে পাঠায়। এই ওজন স্তর ক্ষতিগ্রস্থ হলে সূর্যের অতি বেগুণী রশ্মি পৃথিবীতে আসবে। ফলে প্রাণী জগত পড়বে মহা বিপর্যয়ের মধ্যে। এতে মানুষ ও অন্যান্য প্রাণীর রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যাবে। পরিবেশের উপর বিরূপ প্রতিকৃয়ার ফলে বাস্তুসংস্থান পড়বে হুমকির মুখে।
বিজ্ঞানীরা বায়ুমন্ডলে এই অতি প্রয়োজনীয় ওজন স্তর ধ্বংসকারী নতুন ৭টি উপাদানের উপস্থিতি জানতে পারেন গতবছর। ১৯৮৭ সালের Montreal Protocol অনুযায়ী ওজন স্তরের জন্য ক্ষতিকর গ্যাস উৎপাদন বন্ধ করা হয়। ধারণা করা হচ্ছিল ওজন স্তর যে পরিমান ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে সেটা ২০৫০ সালের মধ্যে তা আবার পূর্বের অবস্থায় ফিরে আসবে। কিন্তু গতবছরের মার্চে England’s University of East Anglia এর গবেষক দল দাবী করেন তারা প্রকৃতিতেীমন চারটি উপাদান খুঁজে পেয়েছেন যেগুলো ওজন স্তরকে ছিদ্র করতে সক্ষম। সেই উপাদানগুলো হচ্ছে ৩ টি ক্লোরোফ্লোরো কার্বন (CFC) ও একটি হাইড্রোক্লোরোফ্লোরো কার্বন (HCFC)। আর এগুলোর পরিমান প্রায় ৮১ হাজার টন! এরপর জুনে তারা আরো ২টি CFC ও একটি HCFC খুঁজে পান।
গবেষক দলের অন্যতম কর্মকর্তা জোহান্স লউব আরো ক্ষতিকর উপাদান আবিষ্কারের আশংকা প্রকাশ করে বলেন “এটা ওজনস্তরের পুণরুদ্ধার কার্যক্রমকে পিছনের দিকে ঠেলে দিতে পারে”। তিনি বলেন এজন্য অধিক মাত্রার কীটনাশক উৎপাদন, রেফ্রিজারেটর/এয়ার কন্ডিশনারে অবৈধ গ্যাসের ব্যবহারই দায়ী।
১৯৮৭ সালে এই গ্যাসের ব্যবহার নিষিদ্ধ করার ফলে পরিবেশে এর পরিমান এখন আগের থেকে অনেক কম। কিন্ত এই কম সংখ্যক গ্যাসও ওজন স্তরকে ধীরে ধীরে বড় ছিদ্রযুক্ত করতে সক্ষম।
টেক এনালিস্ট – টেকমরিচ