research center

প্রয়োজন পর্যাপ্ত UX গবেষণা কেন্দ্র

August ২৫, ২০১৫
আমরা দু’ তিন বছর ধরে “ইউজার এক্সপেরিয়েন্স” শব্দটির সাথে আস্তে আস্তে পরিচিত হতে হতে অভ্যস্ত হয়ে পড়েছি ঠিকই কিন্তু অনেকের প্রশ্নের ধরন শুনে বুঝতে পারি যে “ইউএক্স” নিয়ে এখনও অনেকেই পরিষ্কার নয় অথবা ভুল বুঝছে। না, আজ আর ইউএক্স কি, ব্যাখ্যা ইত্যাদি এসব নিয়ে কথা বলতে চাচ্ছি না। যেটা বলতে চাচ্ছি, “ইউএক্স” একদিনে রাতারাতি গড়ে উঠা কোন বিষয় নয়। আগেও এর প্রয়োজনীয়তা এবং প্রয়োগ ছিল। ১৯৪০ এর শেষের দিকে মানুষ এবং মেশিনের মধ্যে ইন্টারেকশন এর ব্যাপারটি জোরদার হয়  যখন “Human factors and ergonomics (HF&E)” বিষয়টি প্রাধান্য পেতে থাকে। ১৯৯০ এর শুরুর দিকে ডিজাইনারদের কাছে “ব্যাবহারকারিদের অভিজ্ঞতা” বা “ইউজার এক্সপেরিএন্স” নিয়ে উদ্বেগ দেখা দেয়। তখন থেকেই ইউজার এক্সপেরিয়েন্স নিয়ে জোরেশোরে গবেষণা চলতে থাকে।

Donald Norman বা Don Norman  – ইউজার এক্সপেরিএন্স এর জনক নামে যিনি পরিচিত এবং ধারনা করা হয় ইউজার এক্সপেরিয়েন্স শব্দটিকে ব্যাপকভাবে গুরুত্বের সাথে তিনি  প্রকাশ ঘটান। তিনি বলেন – “I invented the term because I thought human interface and usability were too narrow. I wanted to cover all aspects of the person’s experience with the system including industrial design graphics, the interface, the physical interaction and the manual. Since then the term has spread widely, so much so that it is starting to lose its meaning.”

—Donald Norman

সুতরাং, বোঝাই যাচ্ছে, ইউএক্স আকাশ থেকে টুপ করে নেমে ঝুপ করে টেকনোলজিতে এসে বসেনি। এখনও যারা মনে করে ইউএক্স ওয়েব এ একটি নতুন টার্ম, তারা দ্রুতই এই ভুল থেকে বেরিয়ে আসবে বলে আশা করি। ইউএক্স শুধু ওয়েব কেন্দ্রিক নয়। বিভিন্ন ডিসিপ্লিনের ইন্ডাস্ট্রিতে ডিজাইন এর জন্য ইউএক্স নিয়ে কাজ করার দরকার হয়। আমাদের দেশে ইউএক্স এর অতি ক্ষুদ্র একটা অংশ নিয়ে কাজ করা হয়। কিন্তু উন্নত বিশ্বে এর প্রয়োগ ব্যাপক। ইন্ডাস্ট্রিয়াল, ম্যাশিনারিজ, ইলেক্ট্রনিক্স, আরকিটেকচারাল, লিভিং থিংস ইত্যাদি ক্ষেত্রে রয়েছে ইউএক্স এর ব্যাপক চর্চা।

উন্নত দেশগুলোর সাথে আমাদের পার্থক্য লক্ষণীয়। উন্নত দেশগুলো টেকনোলজির ধারক এবং বাহক হওয়াতে তাদের শুরু থেকেই একটি বিষয়ের আদ্যপান্ত গবেষণা করবার জন্য রিসার্চ হাব বা গবেষণা কেন্দ্র থাকে। যেখানে প্রতিটি বিষয়ের উপর ইন ডিটেইল ব্যাখ্যা, জবাবদিহিতা, ভালো, মন্দ, ফলাফল ইত্যাদি সব ধরনের বিষয় পরিপাটিভাবে লিপিবদ্ধ থাকে। একই কারনে, তাদের শিক্ষা ব্যাবস্থার সাথে ব্যাবহারিক জ্ঞানেরও বাসবসম্মত সম্পর্ক আছে। ফলে, নতুন কোন তথ্য ও প্রযুক্তি সম্পর্কে তারা আগে থেকেই স্বচ্ছ ও পর্জাপ্ত  জ্ঞান রাখে আর আমরা সেগুলর উপর কাজ পাই তো ঠিকই কিন্তু জ্ঞানের দিক থেকে অনেক পিছিয়ে থাকি। আমাদের দেশেও বেশী বেশী গবেষণা কেন্দ্র গড়ে তোলা উচিৎ। শুধু গবেষণা কেন্দ্র গড়লেই হবে না, ইনভেনশন এর উপর জোর দিতে হবে। অন্যের জিনিষ অনুকরন করে আর কত? অনুকরন করে সারাজীবন অন্যের দাসত্বই করে যেতে হবে, কখনও মাথা উঁচু করে বিশ্ব সেরাদের মাঝে প্রথম সারির উদ্যক্তা হয়ে দাঁড়ানো যাবে না।
টেক এডিটরিয়াল – টেকমরিচ