তন্ময় সরকার “এদেশের ক্রিয়েটিভ আর্টিস্টদের নিয়ে বিশ্বে মাথা উঁচু করে দাড়াতে চায়!”

January ২৪, ২০১৬

আমাদের আজকের Talented BD Artist  তন্ময় সরকার। তন্ময় প্রাক্তন রাজশাহী কলেজ (বিজ্ঞান) , বর্তমানে অ্যাডমিশন পরীক্ষার্থী । ছোটবেলায় যখন কে. জি স্কুলে পড়ত তখন তন্ময়ের এক বন্ধুর দেখাদেখি ড্রয়িং এর উপর একটা আগ্রহ সৃষ্টি হয়েছিল । আস্তে আস্তে যখন বড় হবার সাথে ইচ্ছাটাও স্তিমিত হয়ে যাচ্ছিল। তারপর আবার কলেজ লাইফের শেষে আগ্রহটা জেঁকে বসতে শুরু করে। চলুন বাকিটা শোনা যাক তন্ময়ের কাছ থেকেই।

“শুরু করি স্কেচ দিয়ে । আমার আরও কয়েকটা বন্ধুদের কাজ দেখে অনুপ্রাণিত হই । স্কেচ করা শুরু করে বুঝলাম হয়ত এইটা আমার জন্যই সৃষ্টি হয়েছে, অনেক মজা লাগতে লাগল । তারপর ইন্টারনেট ঘাটাঘাটি করে আর্টের অনেক এক্সামপল দেখে আঁকাআঁকির ভূত মাথায় আরও বেশি করে চেপে বসল । তারপর আস্তে আস্তে গ্রাফিক্স ডিজাইনিং এর দিকে মস্তিস্ক মোটিভেট হল । লোগো বানালাম, সাথে কিছু ম্যানিপুলেড ড্রয়িং । অনেক প্রশংসা পেলাম মানুষের, অনুপ্রাণিত হয়ে গেলাম । তাছাড়া আমি অ্যাম্বিগ্রামও করেছি । অ্যাম্বিগ্রাম শব্দটি হয়ত অনেকর কাছেই অপরিচিত । আমিও আগে জানতাম না । হঠাৎ একটা ম্যাগাজিনে ঢাবির ফাইন আর্টসের একটা ভাইয়ার এই অ্যাম্বিগ্রামের শিল্পকর্ম আমার মনে ধরে, তারপর নিজে নিজে ইন্টারনেট ঘাটাঘাটি করে আমিও কয়েকটা বানিয়ে ফেলি । অ্যাম্বিগ্রাম হল এক বিশেষ ধরনের শিল্প যেখানে একই শব্দকে একবার সোজা করে আবার ১৮০° ঘুরিয়ে একইভাবে পড়া যায় । আমার নিজের ডেভেলপ করা একটা সাইটও আছে যেখানে আমি আমার কাজগুলো ক্যাটেগরি ওয়াইজ আপলোড করে রেখেছি । ওয়েবসাইট ডেভেলপমেন্টও আমার অন্যতম আরেকটি শখ । তাছাড়া আমি ফটোগ্রাফি ও করি ।”

যে সকল মিডিয়া নিয়ে আমি কাজ করি : আমি সাধারণত পেন,চারকোল,গ্রাফাইট এইসব দিয়ে স্কেচ করি । তাছাড়া manipulated drawings , logo designing ইত্যাদি করি ডিজিটাল মিডিয়া ফটোশপ আর Illustrator দিয়ে।

আমার লক্ষ্য : ভবিষ্যতে আমার লক্ষ্য হল বাংলাদেশ থেকে অনেক ক্রিয়েটিভ মাথা বের করে বিশ্বের বুকে কিছু তৈরি করা, যা সবাই দেখে বলবে হ্যাঁ আমরাই সেরা । তবে বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে কাজটা একটু কঠিন , কারন এদেশে এখন ছোট একটা বাচ্চা কেও যদি জিজ্ঞাসা করা যায় – ” বাবু বড় হয়ে তুমি কি হবে ??” বাচ্চাটি কিছু না বুঝেই ডাক্তার/ ইঞ্জিনিয়ারের যেকোনো একটা বলে দেবে । ডাক্তার/ ইঞ্জিনিয়ার এখন যেন সমাজের প্রথা হয়ে গেছে । এ থেকে বেরিয়ে আসতে হলে আমাদের বহির্বিশ্বকে দেখে আর নিজে সচেতন হওয়া ছাড়া আর কোন উপায় নেই । তাই প্রত্যেক বাবা/মায়ের উচিৎ তার বাচ্চার যে জিনিস নিয়ে আগ্রহ বেশি বা সে যে বিষয়ে বেশি পারদর্শী তাকে সেভাবেই সাহায্য সহযোগিতা করা । জোর করে বাচ্চার উপর কিছু চাপিয়ে দিলেই সে গাধা ছাড়া মানুষ হবে না ।

নতুনদের উদ্দেশ্যে : নতুনদের উদ্দেশ্যে শুধু একটা কথাই বলব সেটা হল – তোমরা চারপাশ থেকে শেখ । বর্তমান এই ডিজিটাল যুগে সবার হাতেই এখন স্মার্ট ফোন রয়েছে । তোমরা সেটা কাজে লাগাও । ইন্টারনেট থেকে শেখ , গুগলকে জিজ্ঞাসা করো । মনে যদি প্যাশন থাকে তাহলে তুমি নিশ্চয়ই সফল হবে ।

My Digital Artworks – 

001

002

003

আমার ডেভেলপ করা ওয়েবসাইট  যেখানে আমার সমস্ত কাজগুলো রয়েছে ।