অনেকেই নানা সময়ে এমন প্রশ্ন করে, আমার থিমের UX কেমন হয়েছে একটু ফিডব্যাক দেন। প্রথমত ইউ এক্স কি সেটা যদি কারো কাছে স্পষ্ট থাকে তাহলে এমনটি প্রশ্ন হয়ত করত না। কারন থিমের সাথে ইউ এক্স এর ব্যাপারটি আদৌ যায় কিনা সেটা আসলে ইউ এক্স সম্পর্কে না ধারনা থাকলে ঘুরে ফিরেই একই জায়গায় ঘুরপাক খেতে হবে।
ওয়েব Template বা Theme হচ্ছে কোন ওয়েব সাইটের রেডি একটা ডিজাইন। থিম ডিজাইনাররা নিজের মতো করে কোন টপিক্স পিক করে একটি ডিজাইন দাড় করিয়ে সেটা বিভিন্ন থিমের ওয়েবসাইটে নামমাত্র মুল্যে Showcase করে। ক্লায়েন্টরা তাদের পছন্দ মতো ডিজাইন সেখান থেকে কেনে।থিমগুলো লো কস্ট হয় বলে এই একই থিম দেখা যায় যে শ’খানেকবার বা তারও বেশীবার সেল হয়। তার মানে একই ডিজাইন একাধিক ক্লায়েন্ট তার ব্যাবসার জন্য ব্যাবহার করছে।
এখন আসা যাক ইউ এক্স এর ব্যাপারটিতে। ভাবছেন থিমগুলোর তো বাজার কাটতি ভালো, ক্লায়েন্টরা তো কিনছে তাহলে এখানে থিমটির ইউ এক্স কেমন হল এ প্রশ্ন অবান্তর কেন হবে? এর যুক্তি খন্ডাতে হলে শুরু করতে হবে ইউ এক্স বলতে আমরা আসলে কি বুঝি সেখান থেকে।
ব্যাবহারকারির অভিজ্ঞতাই হচ্ছে ইউ এক্স। এই অভিজ্ঞতা হতে পারে কোন ওয়েব সাইট বাMobile Application বা কোন সফটওয়্যার এর। একেকজন Client তার ব্যাবসার ধরন বুঝে তার ওয়েব এপ্লিকেশনটি বা সফটওয়্যারটির জন্য একেকরকম রিকয়ারমেন্ট দাড় করায়। সেখানে সে বিভিন্ন ফিচার এবং ফাঙ্কশনালিটি এড করে। ফলে সেটা হয় একটা ইউনিক সিস্টেম। আর সেভাবে ইউ এক্স ডিজাইনাররা তাদের ইউজার রিসার্চ করে পুরো সিস্টেম টা ডিজাইন করে। ইউ এক্স এর প্রক্রিয়াগুলো ফলো করে ধাপে ধাপে পুরো সাইটটি তৈরি করে।
সুদূরপ্রসারি চিন্তা করে যখন একজন ক্লায়েন্ট কোন সফটওয়্যার বা ওয়েব এপ্লিকেশন তৈরি করে সেটা অবশ্যই যাতে ইউনিক বা মৌলিক হয় সে পরিকল্পনা সবারই থাকে। ডেভেলপমেন্ট এর ক্ষেত্রে দুভাবে কাজটি হয়। ক্লায়েন্ট নিজে একজন Developer এবং থিমটি নিজে সে ক্রয় করে। আবার একজন নন টেকনিক্যাল ক্লায়েন্ট বা যে ওয়েব ডেভেলপার না সে তখন কোন কোম্পানির দ্বারা সাইটটি বানিয়ে নেয়। এবং কোম্পানিটি থিম কিনে ডিজাইন পরিবর্তন করে সাইট বানিয়ে দেয়।
থিম যেহেতু কোন প্রকার রিসার্চ ছাড়া বা তথ্য উপাত্ত ছাড়া এক প্রকার কল্পনাপ্রসূত একটি রিকয়ারমেন্ট চিন্তা করে তৈরী করা হয়, সেহেতু সেখানে ইউ এক্স এর বিশিষ্টগুলো মিসিং থাকে।
থিমের কিছু সীমাবদ্ধতা রয়েছে। আর ইউএক্স মানেই সীমাবদ্ধতাগুলোকে সমাধানে নিয়ে আসা। থিমের কিছু কমন সীমাবদ্ধতাগুলো হচ্ছে –
– একই থিম একাধিক ওয়েবসাইটে ব্যাবহারিত হয় বলে সাইটের মৌলিকতা থাকে না।
– একজন থিম ডেভেলপার তার নিজের মতো করে থিম টি ডিজাইন করে ফলে ক্লায়েন্ট প্রথম অবস্থায় কাজ চালিয়ে নিতে পারলেও এক্সট্রা Feature বা কোন Customization এর সময় সীমাবদ্ধতার কারনে পুরোপুরিভাবে সেটিসফায়েড হতে পারে না।
– বড় কোন ওয়েব এপ্লিক্যাশন যেমন কোন ইউনিভার্সিটি বা হাসপাতালের Management System ব্যাবসার ধরন বুঝে ভিন্ন ভিন্ন হয়। এ ক্ষেত্রে কোন রেডি থিম দ্বারা এর পারপাস সার্ভ করা সম্ভব নয়। সফলতার দৃষ্টীকোন থেকে বলতে গেলে কোন বড় এপ্লিকেশন বা সাইটের জন্য UX এর মেথডোলজিগুলো ফলো করাটা অত্যাবশ্যকীয়।
সুতরাং, এটা পরিলক্ষিত যে ইউ এক্স এর বৈশিষ্ট অনুযায়ী ইউজারকে বেস্ট এক্সপেরিয়েন্স দেবার জন্য সফল প্রোডাক্ট বানাতে যা যা প্রয়োজন একটা রেডি থিমে সেটা অবিদ্যমান। আর এ কারনেই থিমের সাথে ইউ এক্স সম্পর্ক স্থাপনের ব্যাপারটিও অসামঞ্জস্যপূর্ণ।
Tech Editorial – Techmorich