Talented artist সানজিদ আহমেদ ভালোবাসে রিয়ালিস্টিক ও ডিটেইল ছবি আঁকতে

অক্টোবর ২১, ২০১৫

টেকমরিচের আজকের অতিথি এশিয়া প্যাসিফিক ইলেক্ট্রিক্যাল এ্যান্ড ইলেক্ট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং ডিপার্টমেন্টের ছাত্র সানজিদ আহমেদ। ছোটবেলার আকাআকির স্বপ্নকে লালন করে সানজিদ সাধনা আর অধ্যবসায় দিয়ে প্রমাণ করেছে লেগে থাকলে প্রফেশনালদের মতোই আর্টিস্ট হয়ে উঠা সম্ভব।

নামঃ শেখ সানজিদ আহমেদ

আর্টিস্ট হব বা পাগলের মত কখনো ছবি এঁকে বেড়াব এ ধরনের কোন ইচ্ছা/স্বপ্ন ছোটবেলায় ছিল না। ছেলে বড় হয়ে ডাক্তার/ইঞ্জিনিয়ার হবে এই ধরনের একটা স্বপ্ন সকল পরিবারেরই থাকে, আমার পরিবারও তার ব্যাতিক্রম ছিল না। বিভিন্ন টেকনোলজি ও রোবটিক্সের উপর বিশেষ আকর্ষণ থাকায় পরিবারের সাথে  তাল মিলিয়ে নিজের লক্ষ্য নির্ধারণ করি, আমি ইঞ্জিনিয়ার হব। ছেলেবেলায় মুস্তাফা মনোয়ার স্যারে ‘মনের কথা’ অনুষ্ঠানটির অনেক বড় ভক্ত ছিলাম। অনুষ্ঠান দেখে টুকটাক আকাআঁকি করতাম। কোথাও ফাঁকা কাগজ পেলেই গ্রামের দৃশ্য আঁকতাম। চুপচাপ স্বভাবের হওয়ার খুব বেশি বন্ধু ছিল না। তাই অবসর কাটত ছবি এঁকেই। কোথাও কিছু দেখলেই হুবহুব আঁকার চেষ্টা করতাম।

ইঞ্জিনিয়ার হবার স্বপ্ন পূরন করতে  ইউনিভার্সিটি অফ এশিয়া প্যাসিফিকে ইলেক্ট্রিক্যাল এ্যান্ড ইলেক্ট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং ডিপার্টমেন্টে ভর্তি হয়ে যাই। পড়ালেখার সুবিদার্থে বাসায় আসে ইন্টারনেট।   এসময় ইন্টারনেটে গ্রাফিক্সের বিভিন্ন কাজ দেখাতাম।  বিভিন্ন ব্লগ, ভিডিও টিউটোরিয়াল দেখে  গ্রাফিকের কাজ শিখতে থাকি। ২০১৩ তে গ্রাজুয়েশন শেষে অবসর কাটতে থাকে ছবি এঁকে আর গ্রাফিকের কাজ করে। টুকটাক ফ্রিল্যান্সিংও শুরু করে দেই। এসময় বেশিরভগি মানুষের ছবি এঁকে কাটাতাম; কারো ছবি আঁকার ক্ষেত্রে যে ব্যাপারটা আমাকে সব চাইতে উদ্ভুদ্ব করে তা হচ্ছে মানুষটির চোখ এবং হাঁসি। কারো চোখ এবং হাঁসি ভালো লাগলেই তার ছবি এঁকে ফেলি। এসময় মনে হয় আমি কোন অজানা রহস্য খুঁজে বেড়াচ্ছি।

সবসময়ই চেষ্টা করি রিয়ালিস্টিক ও ডিটেইল ছবি আঁকতে। এজন্যই Pencil Drawing  আমার খুব পছন্দের মিডিয়া। এছাড়াও Oil, Acrylic ও Digital Media  নিয়েও কাজ করা হয়। তাছাড়া Egg Art ও আমার আর একটি পছন্দের আর্ট।

আমার লক্ষ্য একজন “Movie Maker” হওয়া।

দুঃখজনক হলেও সত্য আমাদের দেশে শিল্প এবং শিল্পীর সঠিক মূল্যায়ন হয় না। আমাদের দেশেও যে বিশ্বমানের শিল্পী রয়েছে এবং তৈরি হতে পারে এ ব্যাপারে মানুষের ধারনা খুবই নগণ্য। এখানে কোন বাবা-মা তার সন্তানকে আর্টিস্ট হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হবার স্বপ্ন দেখেন না। আমি মনে করি শিল্পের সঠিক মুল্যায়ন ও প্রচারনাই হতে পারে এর সমাধান।

দেশের তরুন সমাজ কে আমি বলব, “নিজের আগ্রহের সঠিক মূল্যায়ন করুন; আপনার আপনাকে জানার চেষ্টা করুন। নিজের প্যাশনকে যদি প্রফেশন করে তুলতে পারেন তাহলে কাজ করে আত্মিক তৃপ্তি ও সফলতা দুটোই পাবেন।”  


Tech Reporter
– Techmorich