“তিশা বিশ্বাস” ভালোবাসে Doodling এবং Negative ড্রয়িং-এর মতো ভিন্নধর্মী কাজ করতে

ডিসেম্বর ৫, ২০১৫

আর্টিস্ট বলতেই মনের ক্যানভাসে ভেসে ওঠে পেন্সিল আর রংতুলি দিয়ে নানা রঙের পসরা সাজিয়ে বসেছে এমন একজনের অবয়ব। আর্টিস্টদের ভুবনটাই যেন অন্যরকম এক মহামায়ায় আচ্ছন্ন জগত! এই জগতে আর্টিস্ট বা ডিজাইনারদের মধ্যেও রয়েছে বিভিন্ন ক্যাটাগরি। একেকজন কাজ করে একেক মিডিয়া নিয়ে। এই মিডিয়াগুলোতে রয়েছে ভিন্ন ভিন্ন নাম, ধরন,একটার সাথে অন্যটার মধ্যে পার্থক্য ইত্যাদি।

আমাদের আজকের টেকমরিচের প্রতিভাবান শিল্পী তিশা বিশ্বাস। তিশা ভালোবাসে ভিন্নধর্মী কাজ করতে। তার ঝোঁক ডুডলিং এবং নেগেটিভ ড্রয়িং-এর প্রতি। চলুন বাকিটা তিশার কাছ থেকেই শুনতে শুনতে পরিচিত হই এই তরুন শিল্পীর সাথে।

আমি তিশা বিশ্বাস। বর্তমানে ব্র্যাক ইউনিভার্সিটিতে ফার্মেসি নিয়ে পড়ছি। ছোটবেলা থেকেই আঁকাআঁকির দিকে বিশেষ একটা আকর্ষণ কাজ করত। তাই অনেকটা শখের বশেই এর সাথে জড়িয়ে গিয়েছি। স্কুলের পড়াশোনার পাশাপাশি সবসময়ই আঁকতাম, কিন্তু পরবর্তীতে পড়ার চাপ বেড়ে যাওয়ায় আঁকাআঁকি একদমই ছেড়ে দিয়েছিলাম। ২০১৩ থেকে আবার নতুন করে আঁকতে শুরু করি।

কোন প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা নেই আমার। বিভিন্ন আর্টিস্টদের কাজ এবং ইন্টারনেটের বিভিন্ন টিউটোরিয়াল থেকেই ধীরে ধীরে নিজেই শিখছি। এ ব্যাপারে আমার বাবা-মা সবসময়ই আমাকে উৎসাহ দিয়েছেন।

পেন্সিল স্কেচ থেকে শুরু করে ডিজিটাল ড্রয়িং-সবকিছুই করার চেষ্টা করি আমি। ট্র্যাডিশনাল থেকে আলাদা কিছু করতেই বেশি ভালো লাগে আমার। আমার বিশেষ ঝোঁক আছে ডুডলিং এবং নেগেটিভ ড্রয়িং-এর দিকে।

আমাদের দেশে ছবি আঁকার ব্যাপারটা ধীরে ধীরে বেশ জনপ্রিয় হচ্ছে ঠিকই, তবে অন্যান্য দেশের মতো ছবি আঁকাকে সঠিকভাবে মূল্যায়ন করা হয় না এখনো। আর আমাদের দেশে ছবি আঁকার অনেক দরকারি জিনিসই পাওয়া যায় না। ফলে অনেক ক্ষেত্রে সমস্যা ফেস করতে হয়।
জানি না পরবর্তীতে কতটুকু সময় দিতে পারবো ছবি আঁকার পেছনে, তবে চেষ্টা করবো আঁকাআঁকি চালিয়ে যাওয়ার।

tisha-04

tisha-03

tisha-01

tisha-02

You are welcome to visit my deviant-art gallery

Rifat Ara – Techwriter