Daffodil International University’র মাল্টিমিডিয়া এন্ড ক্রিয়েটিভ টেকনোলজি বিভাগের ছাত্র জিয়াউল করিম, সোশ্যাল মিডিয়ার পেজে জিয়া প্রিওম নামে পরিচিত। । কম্পিউটার সায়েন্সে ভর্তি হয়েও ফিরে গিয়েছে তার সত্যিকার passion ছবি আঁকা আর এনিমেশন এর কাছে। জিয়ার কাছ থেকে শুনব তার আর্টিস্ট হয়ে ওঠার স্বপ্নের কথা।
নাম: মোহাম্মাদ জিয়াউল করিম
ছবি আকার প্রতি আগ্রহ ছোট বেলা থেকে হলেও পারিবারিক রক্ষণশীলতা আর ধর্মীয় অনুশাসনের কারনে সেটা নিয়ে সময় দেয়া হয়নি অনেকদিন। চারুকলায় ভর্তি হওয়ার প্রবল ইচ্ছা থাকা সত্ত্বেও পরিবারের অনুমতি না থাকায় সেখানে পরীক্ষা দেয়া হয়নি। শেষ পর্যন্ত কম্পিউটার সায়েন্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগে এ ভর্তি হলাম ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি তে।হাতে পেলাম ইন্টারনেট।হাতে পেলাম বিশ্ব। ইউটিউব এ ছবি আকার বিভিন্ন ভিডিও দেখে মনে হল ছবি আঁকাটা আবার শুরু করা যায়।শুরু করলাম শখের কাজ। আর ছবি আকার ক্ষেত্রে মানুষের মুখাবয়ব আকার প্রতি আমার অনেক ঝোঁক ছিল দেখে সেটাই বেশি আঁকা হত।
কিন্তু একদিকে কম্পিউটার সায়েন্স আরেকদিকে ছবি আকা দুইটা কোন ভাবেই একসাথে চালাতে পারছিলাম না। শেষ পর্যন্ত বাবা-মা এর অনুমতি ছাড়াই ভর্তি হই ড্যাফোডিল ইউনিভার্সিটি এর মাল্টিমিডিয়া এন্ড ক্রিয়েটিভ টেকনোলজি বিভাগে।গ্রাফিক ডিজাইন,2d ও 3dএনিমেশন,3d ভিজুয়ালাইজেশন ইত্যাদি নিয়েই এই ডিপার্টমেন্ট। আর ছবি আঁকার সুবাদে এনিমেশনের প্রতি ও ঝোঁক ছিল প্রবল। এই কারনেই মূলত এই সাবজেক্ট এ ভর্তি হওয়া।
এখন আমি মাল্টিমিডিয়া এন্ড ক্রিয়েটিভ টেকনোলজি ডিপার্টমেন্টের তৃতীয় সেমিস্টার এর ছাত্র।আমার লক্ষ্য বিশ্বমানের একজন এনিমেটর হওয়া এবং এনিমেশন সেক্টরে বাংলাদেশকে শীর্ষে পৌঁছানোর ক্ষেত্রে অবদান রাখা।
আমি নিজে নবীন হলেও আমার থেকে নবীনতর দের আমি একটা কথাই বলব,” তোমাদের যেই বিষয়ে আগ্রহ বেশি সেটা নিয়েই কাজ করতে থাকো। কোন বিষয়ে শীর্ষ পর্যায়ে যেতে হলে সেটা নিয়ে আগ্রহ থাকতে হবে। তাহলেই পৃথিবীর অন্যান্য দেশের সাথে প্রতিযোগিতায় টীকে থাকা যাবে।সেটা না হলে সব কিছুতেই এভারেজ অথবা তার থেকেও নিচে থাকতে হবে, শীর্ষে পৌঁছানো যাবেনা।”
জিয়ার সোশ্যাল পেজ এ দেখতে পাবেন তার অন্যান্য কাজগুলো।
Tech Desk – Techmorich